বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯৩টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ-ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রাত্যহিক জীবনে নৈতিকতা চর্চা করা না গেলে প্রকৃত অর্থে এই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। মূলত টেকসই উন্নয়ন এবং নৈতিকতা চর্চা একে অপরের পরিপূরক। তাই, নৈতিকতা চর্চার বিষয়গুলো পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রে নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে তরুণ সমাজ তথা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাজ করছে এথিক্স এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (ইটুএসডি)। তরুণ মনে নৈতিকতার বার্তা সহজে পৌঁছাতে পারেন শিক্ষকরাই। এই শিক্ষকদের মধ্যে নৈতিকতার ধারণা পরিষ্কার করা এবং শিক্ষার্থীদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ‘নৈতিক শিক্ষা বিষয়কশিক্ষক প্রশিক্ষণ’-এর আয়োজন করে ইটুএসডি।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তারা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রজীবনে কঠোরভাবে নৈতিকতা পরিপালনের ওপর জোর দেন। তারা বলেন, নৈতিকতা প্রতিষ্ঠিত না হলে পরিবার কিংবা রাষ্ট্র- কোনো পর্যায়েই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণেরউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ এবং বশির উদ্দিন আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. বিল্লাল হোসেন। উপস্থিতি ছিলেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ডার্টমাউথ-এর সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতাউল করিম।
উদ্বোধনী ও সমাপনী সেশন পরিচালনা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেন ইটুএসডি-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আলী রেজা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সমাজকে যে রকম দেখতে চেয়েছিলাম, সে রকম দেখছি না। দিনদিন মাথা নুয়ে আসছে। এর পরিবর্তন আনতে শিক্ষকদের রোলমডেল হতে হবে। আপনি যদি নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে না পারেন, নৈতিকতার বাণী শুনিয়ে কোনো লাভ হবে না। মহানবী এমন কিছু করতেন না, যা তিনি প্রাকটিস করতেন না। তিনি বলেন, আসলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানুষ গড়ার কারিগর নয়, মনুষ্যত্বের ভিত তৈরি হয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে। তিনি নৈতিক সমাজ গঠনে যথারীতি শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মো. সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল বলেন, আমরা সবাই সুন্দর কথা বলতে অভ্যস্ত, সুন্দর কাজে অভ্যস্ত নই। যেটা আমরা করি না, সেটাই বলি। আমরা চাই সমাজ ভালো কাজ করুক, কিন্তু নিজেরা ভালো কাজ করি না।তিনি বলেন, মেকআপ দিয়ে মানুষের বহিরাবরণে সৌন্দর্য আনা যায়, কিন্তু ভেতরের সৌন্দর্য হলো নৈতিকতা।আমাদের উচিত, একটি আয়না সামনে রেখে নিজের চেহারাটা দেখা, নিজের ভেতরের মানুষকে খতিয়ে দেখা। এরপর নিজের ত্রুটিগুলোকে সংশোধন করা। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
মো. আবদুল মজিদ বলেন, শিক্ষকের কাজ হলো নিজেকে অনুকরণীয় করে তোলা। শিক্ষকরা নৈতিক হলে শিক্ষার্থীরা নৈতিক হতে বাধ্য। কারণ, শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের হাঁটাচলা পর্যন্ত অনুসরণ করে। শিক্ষক যদি ক্লাসে দেরি করে আসেন, পাঠদানে দায়িত্বশীল না হন, কাজে ফাঁকি দেন, শিক্ষার্থীরাও সারাজীবন অনৈতিকতা লালন করবে। তিনি বলেন, শুধু শিক্ষার্থী কেন, সমাজও শিক্ষকদের ফলো করে। তারা সমাজের ম্যাসেঞ্জার। আজ যারা দুর্নীতি করছেন, টাকা পাচার করছেন, তারা আমাদেরই শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা আমাদের অনুসরণ করে ভালো কিছু শেখেননি বলেই তাদের মধ্যে সততার অভাব রয়েছে। এর দায়ভার শিক্ষকদের নিতে হবে।
মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, নৈতিকতাকে আমরা আবশ্যিক মনে করছি না; পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রে আমরা এটিকে অপশনাল মনে করছি। সমাজে এখন নৈতিকতার মূল্যায়ন কম। নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ কোণঠাসা। দুঃখের বিষয় হলো, আমরা পড়ালেখা করি স্রেফ সার্টিফিকেটের জন্য; সেটি নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে হলেও আমরা অর্জন করি। তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকে যদি ব্যক্তিপর্যায়ে দুর্নীতিমুক্তি থাকি, সমাজ বদলে যাবে; এ দুর্বিষহ অবস্থা আর থাকবে না।
প্রশিক্ষণের প্রথম দিন ‘পরিচিতি, প্রাক মূল্যায়ন, প্রত্যাশা, উদ্দেশ্য ও নীতিমালা’ বিষয়ক অধিবেশন পরিচালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক চিন্ময় মুৎসুদ্দী; ‘দৈনন্দিন জীবনে আইন ও নৈতিকতা এবং এর চর্চার ক্ষেত্রসমূহ’ নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান; ‘নৈতিক শিক্ষার তত্ত্বগত ধারণা, বর্তমান সময় এবং এর গুরুত্ব’ নিয়ে অধিবেশন পরিচালনা করেন ইটুএসডি-র সিইও কাজী আলী রেজা এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর উপ-প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক মো. সাইফুজ্জামান রানা।
আগের দিনের পর্যালোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। অধিবেশনটি পরিচালনা করেন চিন্ময় মুৎসুদ্দী। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ‘শিক্ষায় নৈতিকতা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতাউল করিম। তিনি দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে দুর্নীতিমুক্ত ও নৈতিক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন। পেশাগত অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি কর্মক্ষেত্রে জেঁকে বসা অনৈতিক দিকগুলোর সবিস্তার তুলে ধরেন এবং এসব প্রতিহত করতে শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এদিন ‘প্রকৃতি, পরিবেশ ও নৈতিকতা’ নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান; ‘ভালো ও মন্দের ধারণা এবং যাপিত জীবনে এগুলো অনুসরণের কৌশল’ নিয়ে আলোচনা করেন কাজী আলী রেজা; ‘শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের দায়িত্ব’ নিয়ে অধিবেশন পরিচালনা করেন মো. সাইফুজ্জামান রানা। নৈতিক শিক্ষা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য ইটুএসডি-প্রকাশিত ‘নৈতিক শিক্ষা ওয়ার্কবুক’ ব্যবহারের ওপরও তিনি আলোচনা করেন।
প্রসঙ্গত, নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক পাঠদানকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক ভাবনাসূত্র, নৈতিক-অনৈতিক কাজের তালিকা, ভালো-র প্রতিষ্ঠা এবং মন্দ প্রতিহত করা নিয়ে মতামত, করণীয়, পরিকল্পনা এবং আগের সপ্তাহের পাঠদানের ওপর প্রশ্নোত্তর সম্বলিত এই ওয়ার্কবুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
এরপর দিনের পর্যালোচনা করেন চিন্ময় মুৎসুদ্দী।এদিন বিকালে সমাপনী সেশন অনুষ্ঠিত হয়। আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহীর সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপদেষ্টা মো. লকিয়ত উল্লাহ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য সালাহউদ্ দীন আহমেদ এবং আহ্ছানিয়া মিশন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান।
মুহাম্মদ ফাজলী ইলাহী শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যে স্টেজে শিক্ষা দিচ্ছেন, সেখানে কচিকাচাদের নৈতিক বানানো সহজ। আপনারা যদি শিক্ষার্থীদের দিনে একটি করে বাক্য শেখান, যার সঙ্গে নৈতিকতা জড়িত, এটি সমাজকে নৈতিক করতে সাহায্য করবে। কারণ, শিশুমনে শিক্ষকদের কথা সারাজীবন থেকে যায়। তিনি বলেন, নৈতিকতা না থাকলে উন্নয়ন টেকসই হবে না। শুধু উন্নয়ন কেন, নৈতিকতা না থাকলে সমাজ ও দেশের মৃত্যুও হতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সারা পৃথিবী আজ এই যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত। বিপুল প্রাণহানি হচ্ছে। এই যুদ্ধের কুশীলবরা নৈতিক হলে এই রক্তপাত বন্ধ হবে।
অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ছোটবেলায় আমাদের স্কুলে লেখানো হতো- সদা সত্য কথা বলিব, গুরুজনদের সম্মান করিব। আমরা এর সঙ্গে সঙ্গে সবসময় সত্য বলার, ভালো কাজ করার তাগাদা অনুভব করতাম, এবং এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম। তিনি বলেন, ধর্ম যেমন নৈতিক আচরণ শেখায়, সমাজ-সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গও আমাদের ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করে। তিনি বলেন, সমাজ এতই কলুষিত যে, মিথ্যা বলা যে ভয়াবহ অপরাধ, সেটা আমরা বুঝতেই পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হচ্ছে, যাদের ওপর দেশের ভবিষ্যত নির্ভর করছে, তারা আপনাদের কাছ থেকেই আসল শিক্ষাটা পাচ্ছে। আপনারা যদি তাদের নৈতিকতা শেখান, তারা নৈতিক হবে, সঙ্গে সমাজও নৈতিকতাসম্পন্ন হবে।
মো. লকিয়ত উল্লাহ বলেন, নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালনই সর্বোচ্চ নীতি-নৈতিকতা। আপনি নীতিবান হলে আপনার পার্শ্ববর্তী যারা, তারাও নীতিবান হতে বাধ্য। আমরা এমনভাবে নৈতিকতাসম্পন্ন টেকসই ব্যবস্থা তৈরি করে যাব, যাতে আমি না থাকলেও সেটা যথাযথভাবে চলমান থাকবে। তিনি শিক্ষকদের এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সালাহউদ্ দীন আহমেদ বলেন, কান পাতলেই নৈতিকতার অবক্ষয়ের কথা শুনতে পাই। চোখ মেললেই বিষাক্ত পরিবেশ দেখতে পাই। এই সময়ে আমরা যদি আমাদের করণীয় সম্পন্ন না করি, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, পরিবার এবং বিদ্যালয় থেকে যে ভালো কিছু শিখবে না, সে সমাজকে ভালো কিছু দেবে না। তিনি ভালো মানুষের জীবন থেকে নেওয়া গল্প কিংবা শিক্ষণীয় ঘটনা থেকে শিক্ষার্থীদের কাছে নৈতিকতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ইটুএসডির কাছ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক শিক্ষক তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিকতার বাণী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমিও আমার কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিদিন জানতে চাই, আজ সকাল থেকে কে কী কী ভালো কাজ করেছে, কে বাবা-মাকে সালাম দিয়েছে, কে সকাল থেকে মিথ্যা বলেনি। এভাবে সৎকাজের প্রসার হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর; আর কারিগরের মধ্যে ত্রুটি থাকলে কোনো কিছুর গঠন সুসম্পন্ন হয় না। বন্ধু হয়ে নিজেকে শিক্ষার্থীদের কাছাকাছি উপনীত করে তাদের ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে রাজধানীর ২১টি স্কুলের ৪০ জন শিক্ষক অংশ নেন। ওই স্কুলগুলোর শিক্ষকরা এই বছর সপ্তাহে একদিন অষ্টম, নবম বা দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার ওপর পাঠদান করবেন এবং প্রাত্যহিক জীবনে এর চর্চার ওপর ব্যবহারিক ক্লাস নেবেন।
এথিক্স এডুকেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (ইটুএসডি) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন (ডাম) এবং নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশি ইসলামিক কমিউনিটি (নাবিক)-এর একটি যৌথ উদ্যোগ। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ‘সেন্টার ফর এথিক্স এডুকেশন’ নামে এই উদ্যোগের শুরু; ২০২৩-এর জানুয়ারিতে নতুন নামে এর পরিমার্জিত দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু হয়। সামাজিক, ব্যক্তিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও মানবিকতাবোধ সম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য।