মুক্তিযুদ্ধের ইহিতাস জানানো ও নৈতিক সমাজ নির্মাণ

একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, সংস্কৃতির সাথে সেই দেশের নতুন প্রজন্মের পরিচয় করিয়ে দেয়া যেমন বড়দের দায়িত্ব; তেমনি এগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রত্যেক ব্যক্তির নৈতিক কর্তব্য। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা কি আমাদের সকল তরুণ প্রজন্ম তথা স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের গৌরব কথা, সংগ্রাম বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের কথা যথাযথ মর্যাদার সাথে শেখানোর জন্য কাজ করছি? আমাদের এই প্রজন্ম কি জানে কি সেই মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খা? কেন সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুকে উপেক্ষা করে ঝাপিয়ে পড়েছিলো মুক্তিযুদ্ধে? কেন আমার মা বোনের সম্ভ্রম গেলো? স্বাধীনতার অ্যাত বছর পরেও কি বাস্তবায়িত হয়েছে মুক্তির সংগ্রামের আকাঙ্খা? না হলে কেন হলো না? এক্ষেত্রে কি আমাদের নৈতিক পরাজয় হয়নি? নৈতিকতার ভিত শক্ত না হলে সমাজের সকল স্তরে বিশৃঙ্খলা আসতে বাধ্য। আজকে বাংলাদেশের সমাজের সবচেয়ে বড় পরাজয় কোনটি? কেউ হয়তো বলবেন দুর্নীতি? কিন্তু দুর্নীতির মূলে রয়েছে নীতি ও নৈতিকতার অভাব। আর একদিনে গোটা সমাজের এই পরাজয় হয়নি; হয়েছে ধীরে ধীরে। নানা অনিয়ম প্রশ্রয়-আশ্রয়ের মধ্য দিয়ে। নৈতিক শিক্ষা ও চর্চার অভাব এর মধ্যে অন্যতম।
সেন্টার ফর এথিক্স এডুকেশন (সিইই) এর পক্ষ থেকে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা, বরবরতা, বিরত্ব, স্বপ্ন ও ত্যাগের দিকগুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলার কাজ করছি। যাতে তারা পূর্ব-পুরুষের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। আর একজন শ্রদ্ধাশীল মানুষ সব সময়ই নৈতিক মানুষ হবেন এ্টা আমাদের বিশ্বাস। নৈতিক শিক্ষা কোর্সের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আহ্ছানিয়া মিশন কলেজের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ জাদুঘর পরিদর্শন করানো হয় এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধ ও এই প্রজন্মের নৈতিক দায় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা করেন সিইই এর সিইও জনাব কাজী আলী রেজা, লেখক, সাংবাদিক জনাব চিন্ময় মুৎসুদ্দী এবং সিইই’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. সাইফুজ্জামান ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রোগ্রাম অফিসার রনিকা ইসলাম।