ঢাকা মহানগরীর শিক্ষার্থীবহুল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ। আট হাজার ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কঠিন নিয়ম শৃঙ্খলা ও উন্নত মানের শিক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছে। E2SD-র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এ প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মো. মগরেব আলী। তিনি ছাত্রদের আইসিটি পড়ান, নৈতিকতায়ও তিনি বলিষ্ঠ।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন একজন ইতিবাচক চিন্তার মানুষ। E2SD-র নৈতিক ক্লাস ও নৈতিক ওয়ার্কবুক নিয়ে খুব আগ্রহ তার। এক কথায় রাজি হয়ে যান নৈতিক পাঠদানের কথা শুনে। তারপর E2SD-র সিইওকে আমন্ত্রণ জানান তার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের।

আমরা E2SD-র একটি টিম ২৫ মে দুপুর ১:৩০ মিনিটে উপস্থিত হই ক্যাম্পাসে। উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক শিক্ষার ওয়ার্কবুক বিতরণ। E2SD-র সিইও কাজী আলী রেজা এসেছেন। সাথে সাংবাদিক ও E2SD-র প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর চিন্ময় মুৎসুদ্দী। টিমে আরও ছিলেন E2SD-র প্রোগাম অফিসার জাহাঙ্গীর যুবরাজ ও ভলান্টিয়ার মোরছালিন হোসেন। অধ্যক্ষ সহ আমরা চলে যাই নৈতিক শিক্ষার ক্লাসরুমে। বিশাল এ প্রতিষ্ঠানের মাত্র ৪১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু। ওরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিল আমাদের জন্য। আমরা শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে ছাত্ররা দাঁড়িয়ে সম্মান জানায়। ব্যস্ত থাকার কারণে প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রথমেই আলোচনায় অংশ নেন। E2SD-কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “নৈতিক শিক্ষা সকলের জন্য দরকার। নৈতিক ওয়ার্কবুক বিতরণ ভালো উদ্যোগ। এতে শিক্ষার্থীরা নৈতিক শিক্ষায় বলিষ্ঠ হবে।”
ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা এ কার্যক্রমে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং প্রতিষ্ঠানের মুখ উজ্জ্বল করবে এ আশা রাখি। সকলকে ধন্যবাদ।”
প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর চিন্ময় মুৎসুদ্দী ১৯৯৭ সালের সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকার একটি কভার পেজ শিক্ষার্থীদের দেখিয়ে বলেন, “আপনারা এখানে কী দেখতে পাচ্ছেন?”
শিক্ষার্থীরা বলল, “তিনজন মাস্ক পড়া মানুষ।”
চিন্ময় মুৎসুদ্দী বলেন, “আমি নিশ্চিত তখন তোমাদের কারো জন্মও হয়নি, করোনার বহু বছর আগেই আমরা মাস্ক পরার গুরুত্ব তুলে এই প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করি। রোগজীবাণু প্রতিরোধী এ মাস্ক সকলের ব্যবহার করা উচিত। ঢাকা শহরে যেভাবে বাতাস দূষিত হয়েছে তাতে মাস্ক পরাই উত্তম।” শিক্ষার্থীরা এ যুক্তিটি এক বাক্যে মেনে নেয়।
কাজী আলী রেজা বলেন, “মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর প্রশিক্ষণ লাগে না, একমাত্র মানুষকেই প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এই যে আমরা নৈতিকতার কথা বলছি এই বিষয়টাও প্রশিক্ষণের আঙ্গিকে জানতে হবে বুঝতে হবে। যে ওয়ার্কবুকটি তোমাদের দেওয়া হল এটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে এবং অনুশীলনী গুলো পূর্ণ করবে। এটা পূর্ণ করাটাই প্রশিক্ষণের একটি ধাপ।”
প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনা ও মতবিনিময় শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিক সচেতনতার দ্বার উন্মোচন করবে।